যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচার হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি সেনারা। গত ২৪ ঘণ্টায় তাদের হত্যাযজ্ঞের শিকার ৮১ জন ফিলিস্তিন। ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় হামাসের সামরিক শাকার ডেপুটি কমান্ডার নিহত বলে দাবি তেল আবিবের।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে দের আল-বালাহ এলাকায় আল-আকসা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আহত মানুষের ঠাঁই হচ্ছে না। পাশের আজ-জাওয়াইদা এলাকায় হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। সেখান থেকেই আহত ব্যক্তিদের আনা হয়েছে হাসপাতালটিতে। স্থানীয় সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাসের পর এটিই ছিল গাজায় প্রথম ইসরাইলি হামলা। শুধু দের আল-বালাহই নয়, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পরও গাজার বিভিন্ন এলাকায় নির্বিচার হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।
গাজার দক্ষিণাঞ্চলে মিসর সীমান্তের রাফা এলাকা এবং গাজা সিটিতে মঙ্গলবার নৃশংস হামলা হয়েছে। রাফার একটি বাসায় বোমার আঘাতে ৪ শিশুসহ নিহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন। অনেকে আহত হয়েছেন। গাজা সিটিতে ইসরায়েলের হামলায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। সব মিলিয়ে পুরো গাজা জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৭ই অক্টোবর উপত্যকাটিতে ইসরাইলের হামলার শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩২ হাজার ৪১৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ইসরাইলের নির্মমতার শিকার গাজাবাসী শুরু থেকে খাদ্যের সংকটে পড়েছে। যা গত কয়েকমাস তীব্র হয়েছে। ত্রাণ সরবরাহের সব পথ বন্ধ করে দেয়ায় আকাশ পথে ত্রাণ সরবরাহ করছে বিভিন্ন দেশ। মঙ্গলবার ভূমধ্যসাগর সৈকতের কাছে বিমান থেকে ফেলা ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ১৮ জন নিহত। এদের মধ্যে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে খাবারে ব্যাগ মাথায় পড়ে।
এদিকে, দিন দিন বাড়ছে ইসরাইল-লেবাননের মধ্যকার উত্তেজনা। এরমধ্যে লেবাননে আবার হামলা চালালো ইসরাইল। বুধবার ভোরে তাদের হামলায় ৭ জন নিহত। দক্ষিণ লেবাননের হেব্বারিয়েহ গ্রামে ইসলামিক গ্রুপের ত্রাণ কেন্দ্রকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে, ইসরাইলিদের বর্বরতা প্রতিবাদে বিক্ষোভ করছে আমেরিকা, যুক্তরাজ্য ও জর্ডানসহ বিভিন্ন দেশের ফিলিস্তিনি সমর্থকরা। জর্ডানের রাজধানী আম্মানে ইসরাইলি দূতাবাসের কাছে আন্দোলন করে ২ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি সমর্থক। এসময় তেল আবিবের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য জর্ডানের প্রতি দাবি জানিয়েছে বিক্ষোভকারীরা।